চট্টগ্রামে দুই চেয়ারম্যানপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১৫

Looks like you've blocked notifications!
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার আমিলাইষ ইউনিয়নের পূর্ব আমিলাইষ চরপাড়ায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন, নুর হোসেন (৪০), ইসমাঈল (৩৫), নিশাত (৮), আবুল বশর (৭০), মো. হোসেন (৬১), হাবিবুর রহমান (৪৫), গিয়াস উদ্দিন (৪০), হেলাল উদ্দিন (৩০), মোহাম্মদ ইয়াছিন (২২), মোহাম্মদ হাসান (৬২), নুরুল আবছার (৩৫), নাছির উদ্দিন(২৫), মারুফ (২৪), ফারুক (২০) ও নাজিম উদ্দিন (৪৮)। তাঁদের সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পূর্ব আমিলাইষ চরপাড়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নির্বাচনি পথসভা চলছিল। এ সময় বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং বর্তমান চেয়ারম্যান এইচ এম হানিফ মিছিলসহ ওই এলাকায় প্রচারের জন্য যান। তখন উভয়পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে দুই প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হানিফের অভিযোগ, ‘আমি গণসংযোগ করার জন্য মিছিল নিয়ে চরপাড়ায় গিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছানোর পরই আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারওয়ার ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার তিন কর্মী আহত হন।’

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরীর অভিযোগ, ‘চরপাড়া এলাকায় পথসভা করছিলাম। এ সময় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী হানিফের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল আমাদের পথসভায় হামলা চালায়। লাঠিসোটা নিয়ে আমার কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজনের প্রতিরোধের মুখে সেখান থেকে সরে গিয়ে আমার বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। এমনকি সেখানে টাঙানো জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করা হয়। সেখান থেকে যাওয়ার সময় আমার নির্বাচনি কার্যালয়টিও ভেঙে তছনছ করা হয়। তাদের হামলায় আমার ১৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’

এ বিষয়ে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠনো হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’