চট্টগ্রামে শিশু আরাফ হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!
হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু আবদুর রহমান আরাফ। ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা এলাকার শিশু আবদুর রহমান আরাফ (২) হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ মো. জসীম উদ্দিনের আদালত এই রায় দেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন–চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার মিয়াখান নগরের মো. ফরিদ, শিশু আরাফের পরিবার যে ভবনে ভাড়া থাকত সেই ভবনের দারোয়ান মো. হাসান ও তাঁর মা নাজমা বেগম। 

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে ছিলেন না।

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য জানান, ২০২০ সালের ৭ জুন বাকলিয়া থানাধীন ম্যাচ ফ্যাক্টরি রোডে নুরুল আলম মিয়ার বাড়ির ছাদের ট্যাংক থেকে আবদুর রহমান আরাফের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আরাফ ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া আবদুল কাইয়ুমের ছেলে। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই তিনজনকে আসামি করা হয়।

পিপি জানান, নুরুল আলম মিয়াকে ফাঁসাতে আরাফকে হত্যা করতে আসামি ফরিদ মাত্র বিশ হাজার টাকায় নাজমা বেগমের সঙ্গে চুক্তি করেন। আরাফ হত্যায় নাজমা বেগম তাঁর ছেলে হাসানের সহযোগিতা নেন। 

নাজমা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানান, ঋণগ্রস্ত হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মাত্র ২০ হাজার টাকার লোভ এবং পাশের ভবনের বাসিন্দা ফরিদের প্রলোভনে তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। বাড়িওয়ালা ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম মিয়াকে ফাঁসানো ছিল মূল উদ্দেশ্য।

নাজমার ছেলে ভবনটির দারোয়ান মো. হাসান (২৩) গেট খুলে দিয়ে তাঁকে ছাদে উঠতে সহায়তা করেছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডের আদেশে হত্যার শিকার শিশু আরাফের বাবা আব্দুল কাইয়ুম সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, রায়ে অখুশি আসামির স্বজনরা। এ নিয়ে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাওয়ারও কথা জানিয়েছেন।