চবিতে কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ, অডিও ফাঁস

Looks like you've blocked notifications!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে ফের নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে তিন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে আট লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কর্মচারীর নাম মানিক চন্দ্র দাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের রেজিস্ট্রার অফিসে নিম্নমান সহকারী হিসেবে কর্মরত। দীর্ঘদিন ধরে চাকরি কিংবা টাকা ফেরত না পেয়ে আদালতের মাধ্যমে চবি কর্মচারী মানিক চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন মাদারীপুরের তিন চাকরি প্রার্থী। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে।

আইনি নোটিশ প্রেরণের ঘটনা প্রকাশের পর আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক নিয়োগে নানা অনিয়মের ঘটনা। ভুক্তভোগী চাকরি প্রার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের নিম্নমান সহকারী মানিক চন্দ্র দাসের একাধিক ফোনালাপ ফাঁস হয়। চাকরি ও টাকা আদান প্রদান এবং টাকা চাওয়ার কারণে হুমকির প্রমাণ মেলে।

জানা যায়, ২০২১ সালের ৩১ মে ও ১ জুন দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে নিম্নমান সহকারী ও অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে রাকিব ফরাজী, সোহেল খান ও মাকসুদুল সালেহীন নামের তিন প্রার্থীর কাছ থেকে কয়েক ধাপে টাকা নেন মানিক। কখনো ৩০ হাজার, কখনো ৫০ হাজার করে টাকা নেন তিনি। এভাবে বিভিন্ন ধাপে মোট আট লাখ ২০ হাজার টাকা নেন মানিক।  

এ প্রতিবেদকের কাছে দুটি রেকর্ডিং এসেছে। তার মধ্যে একটি রেকর্ডিংয়ে টাকা ফেরত চাওয়ায় প্রার্থীকে হুমকি প্রদান করেন মানিক। আরেকটি রেকর্ডিংয়ে টাকা লেনদেনের বিষয়ে কিছু কথা বলেন মানিক।

এ বিষয়ে মাকসুদুল সালেহীন বলেন, ‘আমিসহ আরও দুজনের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কখনো ৩০ হাজার টাকা, কখনো ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে মানিক। এভাবে কয়েক ধাপে মোট আট লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু সে আমাদেরকে চাকরি দিতে পারেনি। এরপর আমরা টাকা ফেরত চাইলে সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। তাই আমি ইতোমধ্যে তাকে একটি আইনি নোটিশও পাঠিয়েছি।’ 

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে মানিক চন্দ্র দাসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমিও বিষয়টি শুনেছি। এদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। প্রশাসনকে বিপদে ফেলতে এরা এসব কাজ করছে। তবে অপরাধী যে-ই হোক আমরা কাউকে ছাড় দেব না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।’