চবির শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি : শাওনের জামিন নামঞ্জুর

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রাম আদালত ভবন। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের মামলার আসামি নূর হোসেন শাওনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া এই আদেশ ও নির্দেশনা দেন।

আদালতে মামলার শুনানির সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির হয়ে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রপক্ষের পিপি আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় করা মামলার বাদী পাঁচ আসামিকে শনাক্ত করেছে। নূর হোসেন শাওন সেই রাতে বাদীর পিঠে সর্বপ্রথম আঘাত করেছে।’

আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এই মামলায় বিচারকের আদেশ তুলে ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত বুদ্ধি চর্চার কেন্দ্রে পরিণত করার ওপর আদালত নির্দেশনা দিয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি সাইফুলকে বহদ্দারহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর গত ২৩ জুলাই সন্ধ্যায় নানা তথ্য দেন র‍্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।

এম এ ইউসুফ জানান, গত ১৭ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্ধুর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকা থেকে হলের দিকে ফিরছিলেন ওই ছাত্রী। আজিম ও তার গ্রুপ চবি এলাকায় রাতে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় হয়রানির শিকার ছাত্রী ও তার ছেলে বন্ধুর দিকে হঠাৎ নজর পড়ে আসামিদের। তারা গিয়ে প্রথমে ছাত্রী ও তার ছেলে বন্ধুকে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করে চাঁদা দাবি করে। একপর্যায়ে তারা মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে যায়। তাদের দুজনকে আটকে রেখে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। মারধরের একপর্যায়ে ছাত্রীটিকে বিবস্ত্র করে ফেলে আসামিরা। এছাড়া শ্লীলতাহানি করে ও ভিডিও ধারণ করে। এরপর তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে ছেড়ে দেয়। 

আসামিরা তিনটি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। মোবাইল তিনটি জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি আজিমের আর দুটি মোবাইল ওই ছাত্রী ও তার বন্ধুর। তাদের হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হবে।