চমেকে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ৭ ছাত্র বহিষ্কার

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল। ছবি : ইউএনবি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় সাতজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চমেকের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সাধারণ ছাত্রদের হলরুমে অবৈধ অনুপ্রবেশ, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে সংঘাত সৃষ্টি এবং আগের মুচলেকার শর্ত ভঙ্গের দায়সহ তাদের বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চমেকের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে ডা. সাহেনা আক্তার  জানান।

বহিষ্কৃতরা হলেন—৫৯তম এমবিবিএসের শিক্ষার্থী অভিজিৎ দাশ,  একই ব্যাচের মো. রিয়াজুল ইসলাম চৌধুরী, ৬২তম এমবিবিএসের শিক্ষার্থী সাজু দাশ, একই ব্যাচের সৌরভ দেবনাথ, মাহিন আহমেদ, জাকির হোসেন সায়েল, মো. ইব্রাহিম খলিল সাকিব।

বহিস্কৃতদের মধ্যে একজনকে তিন বছরের জন্য, তিনজনকে দুই বছরের জন্য এবং বাকি তিনজনকে দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে

বহিষ্কারাদেশ ছাড়াও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ফটকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও হোস্টেলগুলোতে একজন হোস্টেল সুপারের পরিবর্তে একাধিক হোস্টেল সুপার নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় সভায়।

জানা গেছে,  গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্র শিবিরের কর্মী আখ্যা দিয়ে চমেকের ছাত্রাবাস থেকে তুলে নিয়ে চার শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। পরে হল থেকে উদ্ধার করে তাদের দুজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে চমেক কর্তৃপক্ষ।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের পরিবার থেকে জানানো হয়, এ শিক্ষার্থীরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন। তারা পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন।