চাঁদপুরে লঞ্চযাত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় সড়ক অবরোধ

Looks like you've blocked notifications!
চাঁদপুরে নিহত সুমন গাজীর মরদেহ নিয়ে বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন। ছবি : এনটিভি

চাঁদপুরে তুচ্ছ ঘটনায় মরধর ও ছুরিকাঘাতে আহত সুমন গাজী (৩২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার ভোরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। 

এদিকে আজ বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কে ঘণ্টাব্যাপী সুমনের মরদেহ নিয়ে হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে তাঁর পরিবার ও এলাকাবাসী।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে লঞ্চযাত্রী মো. সুমন গাজীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেছে একদল যুবক। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় নৌপুলিশ।

নিহত সুমন গাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডী এলাকার মো. স্বপন গাজীর ছেলে। সুমন ঢাকায় বিমানবন্দর এলাকায় একটি ফার্নিচার দোকানে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা থেকে এমভি সোনার তরী-৩ লঞ্চযোগে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হয় সুমন গাজী। পথিমধ্যে লঞ্চটি চাঁদপুরের কাছাকাছি এলে অপর লঞ্চযাত্রী বাবুর সঙ্গে সিটে বসা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ বাবু লঞ্চযাত্রী সুমনকে হুমকি দেন। লঞ্চটি রাত সোয়া ১১টার দিকে চাঁদপুর ঘাটে পৌঁছালে বাবু ও তাঁর বন্ধুরা মিলে সুমনের ওপর চড়াও হয়। 

এ সময় তারা সুমনকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সুমনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে মারা যান।

সুমনের মোঝো ভাই শরিফ গাজী ও চাচাতো ভাই মিজান বলেন, ‘তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন সুমন। যারা আমাদের ভাইকে হত্যা করেছে, আমরা তাদের ফাঁসি চাই।’

হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সুমনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বুকে আঘাতের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এই ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা সুমনের মরদেহ প্রাথমিক ময়নাতদন্ত শেষে দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করব।’