চাঁদা না দেওয়ায় বালুমহালে সন্ত্রাসী হামলা, ড্রেজারে আগুন

Looks like you've blocked notifications!
মুন্সীগঞ্জে সরকারিভাবে ইজারা নেওয়া বালুমহালে চাঁদা না পেয়ে হামলা চালিয়ে একটি ড্রেজারে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। ছবি : এনটিভি

মুন্সীগঞ্জে সরকারিভাবে ইজারা নেওয়া বালুমহালে সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছেন। এ সময় একটি ড্রেজারে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চর আব্দুল্লাহ এলাকায় মেঘনা নদীতে এই হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।

নৌপুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা ড্রেজার শ্রমিকদের মারধর করে মা-২ নামে একটি ড্রেজারে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে নৌপুলিশ এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ড্রেজারটি রক্ষা করে। হামলায় আহত শ্রমিকরা হলেন সাঈদুল (১৯), সজিব (২৬), মোরশেদ (২৭), ইরাক (৩০) ও যুবায়ের (২২)। তাদের  মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, গত বৈশাখ মাসের এক তারিখ থেকে মেঘনা নদীর চর আব্দুল্লাহ এলাকায় সরকারিভাবে বালু কাটার অনুমোদন পায় বিজয় ট্রেডার্স। তারপর থেকে তাদের অপর একটি পক্ষ মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছে। দাবি করা সেই চাঁদার টাকা না পেয়ে তারা একের পর এক হামলা ও শ্রমিকদের মারধর করে আসছে। 

আহত শ্রমিকরা বলেন, চাঁদপুরের মতলবের দশআনি বাহাদুরপুরের রনি শিকদার, আলমগীর মেম্বার, নারায়ণগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জের হারুন শেখ ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কালিরচর গ্রামের বাচ্চু মেম্বার ও তার ছেলে রিপনের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে মা ড্রেজার ২-এ আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এ সময় আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। আমরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেদের প্রাণ রক্ষা করি। 

মা ড্রেজারের মালিক ও ইজারাদার পক্ষের নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা ড্রেজিংয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে দৈনিক পাঁচ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করে আসছে হারুন, রনি শিকদার, আলমগীর মেম্বার ও বাচ্চু মেম্বার। সেই টাকা না দেওয়ায় বিভিন্নভাবে আমাদের ড্রেজিং কাজে বাধা দিয়ে আসছে তারা।  ইতোমধ্যে কয়েক দফা আমাদের ড্রেজার শ্রমিকদের মারধর করেছে। আজ আরেক দফা আমার ড্রেজার পুড়িয়ে দিয়ে ড্রেজার শ্রমিকদের মারধর করে তারা।

চর আব্দুল্লাহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন জানান, ১০-১২টি ট্রলারযোগে সন্ত্রাসীরা ইজারা নেওয়া চর আব্দুল্লাহ বালুমহালে স্বার্থজনিত কারণে হামলা চালায়। এ সময় তারা একটি ড্রেজারে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।