চাঁদা না পেয়ে পাউবোর কর্মচারীসহ চারজনকে পিটিয়েছে সন্ত্রাসীরা
কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন রোধে চলমান প্রকল্পের কাজের নির্ধারিত ঠিকাদারের কাছে চাঁদা না পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এক কর্মচারী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তিনজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের ভাটলার পাড় স্লুইচগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন পাউবোর কর্মচারী মো. শারাফত আলী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আব্দুস ছালাম, সামছুল হক ও রানা মিয়া।
এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডে উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধাদান, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় শাহ জামাল, সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম ও এরশাদুলসহ সাত থেকে আটজনের নামে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নে জসিম উদ্দিনের মোড় থেকে ভাটলার পাড় স্লুইসগেট পর্যন্ত ৩ দশমিক ০৫ কিলোমিটার ধরলা নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। রংপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেকেআর ইউবি দুই মাস আগে কাজ শুরুর পর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দা শাহ জামাল, সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম ও এরশাদুলসহ কয়েকজন পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চাঁদা দিতে অস্বীকৃত জানালে আজ সকাল ১০টার দিকে মোগলবাসা বাজার সংলগ্ন ভাটলারপাড় স্লুইচগেট এলাকায় কাজ চলাকালে সন্ত্রাসীরা বাধা দেয়। এ সময় প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্য সহকারী মো. শারাফাত আলী বাধাদান কারীদের কাছে কাজ বন্ধ করার কারণ জানতে চান। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলামের নির্দেশে অভিযুক্তরা লাঠিসোটা নিয়ে শারাফাত আলীর ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁর চিৎকারে প্রকল্পের শ্রমিক আব্দুস ছালাম, শামসুল হক ও রানা মিয়া এগিয়ে এলে তাদেরও এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়।
আহতরা কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ‘হামলার ঘটনায় আমি বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ করেছি।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।