চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুবলীগের সাবেক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

Looks like you've blocked notifications!
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের বেডে নিহত যুবলীগের সাবেক নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম। ছবি : এনটিভি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ যুবলীগের সাবেক নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৯ এপ্রিল) ইফতারির আগ মুহূর্তে শহরের উদয়ন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জেম শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মরদানা এলাকার মাইনুল আহসান এডু মাষ্টারের ছেলে। তিনি জেলা যুবলীগের সাবেক সহ শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ ঘটনার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমান ও গত সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটনকে দুষছেন সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ। আর জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মেসবাহুল ইসলাম টুটুলের নেতৃত্বে জেমকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর যুবলীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ।

পৌর যুবলীগ নেতা শহিদ বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে শহরের উদয়ন মোড়ে জেম ইফতারি কেনার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় টুটুলের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে এসে জেমের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে চলে যায় তারা। আমি চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে দেখি, রক্তাক্ত অবস্থায় জেম পরে রয়েছে। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে দ্রুত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিরা খাতুন বলেন, ‘সন্ধ্যায় আহত অবস্থায় জেমকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার দেহে কোপের অনেক চিহ্ন ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।’

হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে উদয়ন মোড়ে জেমের ওপর হামলা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

বর্তমানে নিহত জেমের মরদেহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার পরই শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।