চান্দিনায় পাঁচ মাদ্রাসাকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কওমি মাদ্রাসাও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় কওমি মাদ্রাসাগুলো তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এর মধ্যে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করার পরও মাদ্রাসা চালু রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর ইউনিয়নের পাঁচটি কওমি মাদ্রাসা খোলা রাখার অভিযোগে এক লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ওই পাঁচ মাদ্রাসা হলো রিয়াজুল জান্নাত মহিলা মাদ্রাসা, দারুল কুরআন মাদ্রাসা, তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসা, নূরে মদিনা সুন্নীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং নাজাত মহিলা মাদ্রাসা।
জানা গেছে, মাদ্রাসায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত রেখে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের প্রধান সফিকুর রহমান, মো. ফয়েজুল্লাহ, মো. মিজানুর রহমান, মো. সাখাওয়াত হোসেন ও মো. নুরুল ইসলামকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া খানম এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় চান্দিনা থানা পুলিশ ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করে।
রুবাইয়া খানম জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে অভিযান অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন রুবাইয়া খানম।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখার অভিযোগে আরও ২২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুন নাহার। এ ভ্রাম্যমাণ আদালতে উভয় টিমে মোট ২৮টি মামলা করা হয়।