চিনির সংকট অচিরেই দূর করা হবে : শিল্পমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহী সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন ও বিসিক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আজ শনিবার বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ছবি : এনটিভি

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে দেশে পর্যাপ্ত চিনি মজুত আছে। এরপরও আরও এক লাখ টন চিনি আমদানি করা হবে। বর্তমানে চিনির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে, অচিরেই সেই সংকট দূর করা হবে।

আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন ও বিসিক আয়োজিত ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণে রাজশাহীর ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চিনির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিতে কাজ করছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকেও এখন দেশের জন্য চিন্তা করতে হবে।’

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি দেশেই জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এ দেশের দাম বাড়া কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। তবে, সারা দেশে বাজার মনিটরিংয়ের কাজ চলছে। সে মনিটরিং দেখভালের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরুল্লাহ, মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক প্রমুখ।

পরে মেয়রকে সঙ্গে নিয়ে শিল্পমন্ত্রী বিকেলে বিসিক শিল্পনগরী-২ প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন। এ সময় রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, বিসিক চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, বিসিক রাজশাহীর আঞ্চলিক পরিচালক রেজাউল আলম সরকার, জেলা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক জাফর বায়েজিদ, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী-২ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভূমি ও ভূমি উন্নয়ন ব্যয় ১০৫ কোটি টাকা। বাকি ৬৭ কোটি টাকায় শিল্প স্থাপনের সব অবকাঠামো নির্মাণ, রাস্তা, ড্রেন, কালর্ভাট নির্মাণ, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ, সীমানা প্রাচীর, পাম্প হাউজিং, অফিস, পানি সংরক্ষের জন্য পুকুর ইত্যাদি স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভূমি উন্নয়ন কাজ, বাউন্ডারি ওয়াল, ড্রেনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন প্লট বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পটি দেশের শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং একটি বিশেষায়িত শিল্প নগরী স্থাপনের মাধ্যমে রাজশাহীর জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা পূরণ হবে।