চিনি নিয়ে কারসাজি : ১৪৮ প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা

Looks like you've blocked notifications!

কয়েকদিনের ব্যবধানে চিনির বাজারে বিরাজ করছে অস্থিতিশীল অবস্থা। চিনির অস্থিতিশীল বাজার মনিটরিংয়ের কর্মসূচি নিয়েছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে চিনি নিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের ধরতে দেশব্যাপী বিশেষ অভিযানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে বেশি দামে চিনি বিক্রি ও কারসাজির অপরাধে ১৪৮ প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সারা দেশে চিনির বাজারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা করে। 

অপরদিকে আজ শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মেঘনা, মোনায়েম ও রূপগঞ্জের সিটি গ্রুপ পরিদর্শন করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকার একটি দল। 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসানুজ্জামান জানান, বাজারে চিনি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়িরা বলছে চিনির সরবরাহ কম। এজন্য, দেশব্যাপী চিনির উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মনিটরিং শুরু হয়েছে।

হাসানুজ্জামান বলেন, ‘আজ ঢাকার আশপাশের রিফাইনারিগুলো পরিদর্শন করছি। আমরা সোনারগাঁওয়ের মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ ব্র্যান্ডের চিনির কারখানা পরিদর্শন করেছি। সেখানে প্রতিদিন চিনি উৎপাদনে সক্ষমতা হচ্ছে প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এখন উৎপাদন হচ্ছে এক হাজার নয় শত মেট্রিক টন। উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার জন্য গ্যাস সংকটকে দায়ী করা হচ্ছে। অপরদিকে, মোনায়েম গ্রুপ তাদের উৎপাদিত চিনি নিজস্ব কোকাকোলার প্লান্টে ব্যবহার করে থাকে। মূলত তাদের চিনি বাজারে যায় না। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের সিটি গ্রুপও আমরা পরিদর্শন করেছি।’

অস্থিতিশীল চিনির বাজার মনিটরিংয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর আজ শনিবার নারয়ণগঞ্জে চিনি উৎপাদনকারী তিন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছে। ছবি : এনটিভি

মেঘনা গ্রুপের চিফ অপারেটিং কর্মকর্তা এম এ বকর বলেন, ‘যখন যে পরিমাণ চিনি উৎপাদন হচ্ছে তা বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। উৎপাদন কমে গেছে তার একমাত্র কারণ হলো গ্যাস সংকট। তবে, আমাদের উৎপাদন চালু আছে এবং সরবরাহও হচ্ছে।’

এ সময় চিনির বাড়তি দামের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে মেঘনা গ্রুপের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকার খুচরা বাজারের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেই দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হলে ভোক্তা অধিকার আছে তারা দেখবে বিষয়টা। কিন্তু আমাদের এখানে দাম বাড়ান হয়নি। বাজারে চিনির দাম বাড়লে সবসময়ই রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করা হয়।’