চুক্তি অনুসারে সেনাক্যাম্পে হবে এপিবিএন ক্যাম্প : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালসহ অন্যরা। ছবি : এনটিভি

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে তিন পার্বত্য জেলায় সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা ক্যাম্পে চুক্তির শর্ত অনুসারেই এপিবিএন ক্যাম্প স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ বুধবার রাঙামাটি শহরের জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

রাত ৮টায় শুরু হওয়া এই সভা শেষ হয় রাত ১০টায়। যাতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও অংশ নেন পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য বাসন্তী চাকমা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বছর দুয়েক আগে অনুষ্ঠিত এক সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রথাগত নেতৃত্ব ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনায় পাহাড়ে অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন দল-উপদলের সংঘাত নিরসনসহ নানা পরামর্শ ও সুপারিশ নেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের সভায় পার্বত্য শান্তিচুক্তির আলোকে সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারকৃত ক্যাম্পের জায়গায় এপিবিএন মোতায়েনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সভায় পার্বত্য শান্তিচুক্তি, ভূমি কমিশনসহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পার্বত্য শান্তিচুক্তির অন্যান্য বিষয়ও ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানান।

পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় এপিবিএন ও পুলিশই যথেষ্ট মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজন হলে র‌্যাবও আসবে, পুলিশও থাকবে। আমাদের  পুলিশ এখন আগের চেয়ে অনেক সক্ষম।’ 

তবে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা।