চুরির অপবাদে কিশোরকে মারধর, জুতার মালা
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে এক কিশোরকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধরের পর ঝাড়ু ও জুতার মালা পরিয়ে এলাকায় ঘুরানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কিশোরকে তার প্রাপ্য শ্রমের টাকা না দিয়ে উল্টো নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করে তার পরিবার।
এ ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে ওই কিশোরের নানি বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে ঝাড়ু ও জুতার মালা পরিয়ে কিশোরকে এলাকায় ঘুরানোর ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণসহ এ ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মনে করছেন সচেত মহল।
ওই কিশোরকে প্রথমে মালিক চুরির অভিযোগে পুলিশে দেন। পরে তার নানি গিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনেন। এর পরই দোকান মালিক ওই কিশোরের বিরুদ্ধে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন।
এতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিপনসহ অন্য মাতব্বররা ওই কিশোরকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু কিশোর সেই টাকা না দিতে পারলে তাকে আবার মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ভুক্তভোগী কিশোরকে।
জানা যায়, ছয় মাস ধরে স্থানীয় রাশেদের চামড়ার দোকানে কাজ করত ওই কিশোর। প্রতি মাসের পাওনা টাকা দোকান মালিক দিতেন না বলে অভিযোগ করে সে।
এদিকে দোকান মালিক রাশেদ বলেন, কিশোর চুরি করে তাঁর মূলধন আত্মসাৎ করেছে। এ কারণে তিনি নিজেসহ এলাকাবাসী কিশোরকে শাস্তি হিসেবে ঝাড়ু ও জুতার মালা পরিয়ে দেন।
তবে কাউন্সিলর শিপন ও মাতব্বর ইসমাইল ঝাড়ু ও জুতার মালা পরিয়ে দেওয়ার ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান।
এদিকে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন কিশোরের নানিসহ সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘নির্যাতনের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে।’