ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
পাবনায় এক কিশোরীকে (১৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণে অভিযোগ উঠেছে ভাঙ্গুড়া পৌর ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতার বিরুদ্ধে। গত ৮ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে পৌর ছাত্রলীগের অফিসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নেতারা হলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম ও ছাত্রদলের নেতা দুলু। আব্দুল আলিমের বাড়ি ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেন্দা মাস্টারপাড়া মহল্লায়। আর দুলুর বাড়ি ভাঙ্গুড়া সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে।
ভিকটিম কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সে গত ৮ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে তার প্রতিবেশী চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে ভাঙ্গুড়া শিশুকুঞ্জ পার্কে বেড়াতে আসে। এ সময় তার চাচাতো ভাইয়ের পরিচিত দুই নেতা আব্দুল আলিম ও দুলুর সঙ্গে পরিচয় হয় ওই কিশোরীর। তারা চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। পরে কৌশলে তাদের ভাঙ্গুড়া শরৎনগর বাজারের গরুহাটা কেজি স্কুল সংলগ্ন পৌর ছাত্রলীগের অফিসে নিয়ে যান। অফিসের দরজা বন্ধ করে কিশোরীর চাচাতো ভাইকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি রুমে আটক রেখে ওই কিশোরীকে প্রথমে ছাত্রদলের নেতা দুলু এবং পরে ভাঙ্গুড়া পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনা কাউকে বললে অথবা থানায় অভিযোগ দিলে তাদের দেখে নিবে বলে ভয় দেখায়। এরপর রাত ৮টার দিকে ছেড়ে দেয় তারা। জীবনের ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে তারা। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারের লোকজন জেনে যায়। অভিযুক্তরা ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা হওয়ায় কিশোরীর অভিভাবক আইনের আশ্রয় নিতে ভয় পায়। এজন্য থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। তবে আইন তাদের সুরক্ষা দিলে তারা লিখিত অভিযোগ দিবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম বলেন, ‘যা করেছি টাকার বিনিময়ে করেছি, এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা দুলু বলেন, ‘মেয়েকে দুজন মিলে কাজ করার পর তার সঙ্গে থাকা চাচাতো ভাইয়ের কাছে এক হাজার টাকা দিয়েছি।’
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন খান বলেন, ‘বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। জেলা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সাংগঠনিকভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’