জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবাদানে পুলিশ সদস্যদের আরও সচেষ্ট হতে হবে : আইজিপি

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের অডিটোরিয়ামে দুদিনব্যাপী চলা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কোয়ার্টারলি কনফারেন্সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ছবি : পুলিশ সদর দপ্তর

দেশের প্রতিটি থানাকে সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আজ বুধবার (১৭ মে) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি। পুলিশ লাইনসে দুদিনব্যাপী চলা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কোয়ার্টারলি কনফারেন্সের প্রথম দিনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘প্রতিটি থানাকে সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দেওয়ার জন্য পুলিশ সদস্যদের আরও সচেষ্ট হতে হবে। পুলিশ অনেক ভালো কাজ করছে বলেই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের প্রতি জনগণের প্রত্যাশাও বেড়েছে।’

জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ পুলিশের অনেক সাফল্য রয়েছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘এখনও জঙ্গিরা তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনেও তারা সক্রিয়। জঙ্গি দমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।’ এ সময় আইজিপি সাইবার পেট্রোলিং জোরদারের নির্দেশ দেন।

কিশোর অপরাধের প্রসঙ্গ টেনে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাদেরকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

মাদক সম্পৃক্ত পুলিশ সদস্যকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘মাদকের সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততা থাকলে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্সেই থাকবে।’

কনফারেন্সে অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম জানুয়ারি-মার্চ ২০২৩ কোয়ার্টারের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি, যেমন- ডাকতি, খুন, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, জঙ্গি, কিশোর গ্যাং ইত্যাদি সংক্রান্ত মামলার তথ্য-উপাত্ত সম্মেলনে উপস্থাপন করেন।

কনফারেন্সে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র‌্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্তি আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপিরা, ঢাকায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানরা, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা অংশ নেন।