জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত কাজ আদায়ের নির্দেশ মেয়র তাপসের

Looks like you've blocked notifications!
ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস নগর ভবনে আজ মঙ্গলবার কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। ছবি : স্টার মেইল

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জলাবদ্ধতা নিরসনসহ চলমান অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রমে নিয়োজিত ঠিকাদারদের কাছ থেকে যথাযথভাবে কাজ আদায় করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।  

আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ডিএসসিসির নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ১৮তম বোর্ড সভায় তিনি কাউন্সিলরদের এ আহ্বান জানান।

মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘বর্ষা মৌসুম আবারও সমাগত। জলাবদ্ধতা নিরসন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ও বিশাল কর্মযজ্ঞ। এ ব্যাপারে গত বছর আমরা অনেক সফলতার পরিচয় দিয়েছি। এ বছরটি আমাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের খালগুলো পরিষ্কার করার জন্য ইতোমধ্যে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। যার যার এলাকায় খাল আছে, আপনারা দয়া করে আপনাদের চাহিদা দিয়ে একটু নজরদারি করে সেগুলো পরিষ্কার করিয়ে নেবেন। সেজন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা আছে।’ 

কাউন্সিলরদের সতর্ক করে মেয়র তাপস বলেন, ‘কিছু সময় হয়তো অবহেলা করা হয়। ঠিকাদাররা এক-দুই দিন কাজ করল, আবার হয়তো পরের দিন কাজ করল না, এ ধরনের বিষয়ও মাঝেমধ্যে লক্ষ্য করা যায়। সুতরাং আপনাদেরকে একটু নজরদারি বাড়িয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিতে হবে।’ 

জলাবদ্ধতা নিরসনের সুফল ভোগ করতে নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম তদারকির ওপর জোর দিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা নর্দমা পরিষ্কারে ঠিকাদার নিয়োগ করেছি। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে শুরু হয়ে তা এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে। আপনারা অবশ্যই আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনার ওয়ার্ডের নর্দমাগুলো পরিষ্কার করিয়ে নেবেন। কোথায় কোথায় বর্জ্য জমে ভরাট হয়ে গেছে, তা আপনাদের নখদর্পণে আছে। অবশ্যই, সেগুলো পরিষ্কার করিয়ে নিতে হবে। কারণ, জলাবদ্ধতা নিরসনে নর্দমাগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখে।’ 

এ ছাড়া মাঠ পর্যায়ে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম যেন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্য কাউন্সিলরদের সজাগ থেকে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নেওয়ারও তাগিদ দেন শেখ তাপস। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন–ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।