‘জাওয়াদ’ : রোদ কেটে মেঘলা আকাশ, রাতে ‘ঝরবে’ বৃষ্টি

Looks like you've blocked notifications!
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে আজ শনিবার সকাল থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর নদীর পানি বেড়েছে। ছবি : ফোকাস বাংলা

সকালে রোদের দেখা মিললেও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে কিছু পরেই তা উধাও হয়ে যায়। আকাশ মেঘলা হয়ে যায়। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কিছু উপকূলের গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

আজ শনিবার মধ্যরাত থেকে এ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে আগামী দু-তিন দিন পর্যন্ত কম-বেশি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত প্রত্যাহার করে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগারগাঁও কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, রাজধানী ঢাকা থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে। আর পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে রয়েছে। সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আরও জানান, ‘জাওয়াদ’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে আগামীকাল রোববার দুপুর নাগাদ ভারতের উড়িষ্যার পুরি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এরপর আরও দুর্বল হয়ে উড়িষ্যা উপকূল ধরে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে আসবে ‘জাওয়াদ’। তখন হয়তো এটি শক্তি ক্ষয়ে নিম্নচাপ বা সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হবে।

ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা। ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে রোববার ও সোমবার উপকূলীয় এলাকা ছাড়াও ঢাকায় বৃষ্টি হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলা হয়েছে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে।