‘জাতীয় ঈদগাহে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে’
নভেল করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুবছর বন্ধ থাকার পর এবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঈদুল ফিতরের জামাত। এজন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ শনিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন মেয়র তাপস।
মেয়র বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, আসন্ন ঈদুল ফিতরে করোনা মহামারিকে অতিক্রম করে প্রায় দুবছর পর আবারও জাতীয় ঈদগাহে ঢাকাবাসী ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পারবে। সে আয়োজন আমরা করেছি। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এসে ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য নগরবাসীকে আহ্বান জানাই। সেজন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
নিরাপত্তার বিষয় উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, ‘আপনারা লক্ষ করেছেন, জাতীয় ঈদগাহ সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যেরা কাজ করছেন।’
তাপস বলেন, ‘আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে জেনেছি, সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত এখানে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের আয়োজনে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি এক সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবে।’
ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘ঢাকাবাসীকে আমন্ত্রণ করছি, যাতে করে জাতীয় ঈদগাহে এসে সবার সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারে। নারীদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নারী মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবে।’
বৈরী আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতির বিষয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার একটি আশঙ্কা রয়েছে, তারপরও আমরা পুরোটাতেই ত্রিপল (বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা) দিয়েছি, যাতে করে কোথাও ঝড়-বৃষ্টি হলে ভেতরে যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেসব কিছু বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদগাহ মাঠে বাঁশ দিয়ে প্যান্ডেল করার কাজ শেষ হয়েছে। বৃষ্টির শঙ্কায় প্যান্ডেলে টানানো হচ্ছে শামিয়ানা ও ত্রিপল। চার পাশেও চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।
ডিএসসিসি’র অধীনে ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুতের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পিয়ারো সরদার অ্যান্ড সন্স। মাঠের মাইক ও বৈদ্যুতিক সংযোগের কাজও চলছে সমানতালে। গরমে মুসল্লিরা যাতে কষ্ট না পায়, সেজন্য সিলিং ফ্যান ও প্যাডেস্টাল ফ্যান বসানো হবে। এ ছাড়াও ওজুর ব্যবস্থাসহ স্থাপন করা হচ্ছে মোবাইল টয়লেট।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী সোমবার কিংবা মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। এ বছর জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া ভালো না থাকলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত করার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। এ বছর ঈদের দিন ঝড়বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।