জাবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৩০ শিক্ষার্থী

Looks like you've blocked notifications!
মঙ্গলবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’দল শিক্ষার্থী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ছবি : এনটিভি

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আয়োজিত চ্যান্সেলর কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামাল উদ্দীন হল এবং মওলানা ভাসানী হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই হলের প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় দুই হলের শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল ও দেশি অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে চ্যান্সেলর কাপ ফুটবলের ম্যাচে মুখোমুখি হয় মওলানা ভাসানী হল এবং আ ফ ম কামালউদ্দিন হল। খেলা চলাকালে রেফারির একটি সিদ্ধান্তে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর খেলা বাদ রেখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নিজেদের হলের দিকে ফিরে আসে। পরে দুই হলের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রাত আটটা পর্যন্ত দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই হলের প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. শামসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘কতজন আহত হয়েছে, সেটা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে কমপক্ষে ৩০ জনের মত আহত হয়েছে। যার মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর।

এ বিষয়ে প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ হেল কাফী বলেন, ‘খেলা চলাকালে রেফারির একটি সিদ্ধান্তে দুই হলের শিক্ষার্থীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। একই ঘটনার জেরে রাতে দুই হলের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘বিকালে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই হলের শিক্ষার্থীরা বিবাদে জড়ায়। পরে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে মিমাংসার চেষ্টা করেছি। তবে শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

এদিকে সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে প্রক্টরিয়াল টিম কাজ করেছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’