জালিয়াতির মামলায় পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কারাগারে

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে দলিল জালিয়াতির মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব এ আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার বাসিন্দা বজল আহমদের স্ত্রী সাকেরা বেগমের ২০ শতক জমি ছিল। ওই জমিটি ১৯৯৬ সালে অন্য এক নারীকে সাকেরা বেগম সাজিয়ে জাল দলিলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে নেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর। পরে জমিটি তিনি আরেকজনের কাছে বিক্রি করেন।
এ ঘটনায় ২০২০ সালে সাকেরা বেগম চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (সিআর ৫৯২/২০) করেন। ওই মামলায় রোববার জামিন নিতে গেলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাকেরা বেগমের দায়ের করা জাল দলিল প্রতারণা মামলায় চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন জাহাঙ্গীর আলম। চার সপ্তাহের অস্থায়ী জামিন শেষে গত ২১ অক্টোবর নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার দিন ছিল তাঁর। ওইদিন হাজির না হয়ে ২৪ অক্টোবর জাহাঙ্গীর আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করে অসুস্থতার কারণে নির্ধারিত দিনে হাজির হতে পারেননি বলে দাবি করেন।
আইনজীবী মিফতাহ উদ্দিন আরও বলেন, ২৪ অক্টোবর আদালত আসামির কথা আমলে নিয়ে ৩১ অক্টোবর চিকিৎসার আপডেট কাগজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। রোববার জাহাঙ্গীর আলম চিকিৎসা সংক্রান্ত যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এতে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।