জিয়াউর রহমানের খেতাবে হাত দিলে হাত পুড়ে যাবে : আমান

Looks like you've blocked notifications!

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, ‘আমরা বলেছি, এই সরকার যদি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের চিন্তা করে তবে এই সরকারের হাত জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের পায়ের নীচে মাটি নেই, এই সরকারের সঙ্গে জনগণ নেই। এজন্যই এই সরকার জনগণকে ভয় পায়।’

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ তারিখ রাতে করা হয়েছে। আজকে এজন্যই এই সরকার বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, সেক্টর কমান্ডার, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বীর উত্তম, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে’ আয়োজিত সমাবেশে আমানউল্লাহ আমান এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার ভোট জালিয়াতির সরকার, এই সরকার মিডনাইট সরকার, এই সরকার অনৈতিক সরকার, এই সরকার অবৈধ সরকার।’

সরকার সংসদ, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে উল্লেখ করে বিএনপির নেতা আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, সংসদ উপনির্বাচনে কিভাবে এই সরকার ভোট ডাকাতি করছে। সুতরাং এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন পেতে হলে সব দল ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আমরা নব্বইয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারপ্রধান ও সরকারকে উৎখাত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’

বিএনপির এই নেতা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি এই সময়ে গ্রেপ্তার সব দলীয় নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আযাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল প্রমুখ।