জেলা আ.লীগের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, নোয়াখালীতে ১৪৪ ধারা চলছে

Looks like you've blocked notifications!
নোয়াখালীতে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে গতকাল রোববার বিকেলে তিন গ্রুপ পৃথক স্থানে মিছিলের আয়োজন করার পর ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। ছবি : এনটিভি

নোয়াখালী সদরে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে সংঘর্ষের আশঙ্কায় আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পৌরসভা ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এই সময়ের মধ্যে কোথাও কোনো সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে গতকাল রোববার বিকেলে তিন গ্রুপ পৃথক স্থানে মিছিলের আয়োজন করার পর ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এতে কয়েকজন আহত হন।

পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলাকালে শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

জানা গেছে, সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী, পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উল্লাহ খান সোহেল ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন শাহীনের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিবদমান গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ সময় কয়েকটি সাংগঠনিক পদ ঘোষণা করা হলেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ মূল পদগুলো ঘোষণা না হওয়ায় এ দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সময় কেন্দ্র অনুমোদন না দেওয়ায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে এ কমিটি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর বাগ্‌বিতণ্ডা হয় এবং তাঁরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।

এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ নেওয়ার জন্য পৌর মেয়র শহীদ উল্লাহ খান সোহেল ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহীনও মাঠে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার কেন্দ্র থেকে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে দলীয় পদ নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলা শহর মাইজদী, দত্তের হাট ও সোনাপুর এলাকায় আজ ১৪৪ ধারা চলাকালে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল রাতে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।