জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ, গণনা শুরু

Looks like you've blocked notifications!
দেশব্যাপী জেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুর জেলা স্কুল কেন্দ্রে ভোটপ্রদান করছেন একজন ভোটার। ছবি : ফোকাস বাংলা

সারা দেশে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দ্বিতীয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ সোমবার স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে টানা দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে। এরপর শুরু হয় গণনা।

প্রতি উপজেলা সদরে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। তবে প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থাপন করা হয় ভোটকেন্দ্র। মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৪৬২টি, আর ভোটকক্ষ ৯২৫টি। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মনিটরিংয়ের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।

এবারের নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন মহিলা সদস্য এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটারদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ এসেছে ইসিতে। সেটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বরিশাল জেলা পরিষদের নির্বাচনে ৩১জন ভোটারকে আটকে রাখার অভিযোগ পেয়েছে কমিশন।

তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালত কর্তৃক স্থগিত করা হয়েছে। আর ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই অবস্থায় সোমবার ৫৭টি জেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৯২ জন, সদস্য পদে ১ হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬০৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এ নির্বাচন মোট ভোটার রয়েছেন ৬০ হাজার ৮৬৬ জন। আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে যতগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করেন।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা প্রশাসক ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। আর প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্বে রয়েছে অন্যান্য নির্বাচন কর্মকর্তারা। তবে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠায় তাকে পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

৫৭টি জেলায় সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৪৮টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৬৬টি। ভোট কেন্দ্র ৪৬২টি ও ভোট কক্ষ ৯২৫টি। ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ জন সদস্য মোতায়েন করেছে ইসি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও র‌্যাবের একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।

দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের মত জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয় গত ২৩ আগস্ট। পার্বত্য তিন জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের লক্ষে এ তফসিল ঘোষণা করা হয়। দেশে ১৯৮৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় একবারই সরাসরি নির্বাচন হয়েছিল। আর কোনো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়নি।