জেলা পরিষদ ভবনে ধস : উদ্ধার অভিযান শেষ, চলছে তদন্ত

Looks like you've blocked notifications!
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে ধসের পর উদ্ধার অভিযানের পুরোনো ছবি।

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ভবন ধসে হতাহতদের আট ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন অভিযানের পর শেষ হয়েছে উদ্ধার কার্যক্রম। এসময় সেখানে আর কেউ আটকা পড়া নেই বলে নিশ্চিত করেছে উদ্ধার সংশ্লিষ্টরা। এর আগেই গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। আজ সকাল থেকেই তাঁরা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছেন। এদিকে, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে অর্থ সহায়তা, আহতদের চিকিৎসায় নেওয়া হয়েছে দায়িত্ব।

গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ধসে পড়ে জেলা পরিষদ ভবনের এক পাশের অংশ। পরে ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শেষ হয় এই উদ্ধার কর্মকাণ্ড।  

প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, ২২ জন শ্রমিক নির্মাণ কাজ করছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে নির্মাণাধীন ভবনের একাংশ ধসে পড়ে। ধসে পড়া ভবনের নিচের ছাদ-বারান্দায় শ্রমিকরা আটকা পড়েন। এসময় উদ্ধার করা ছয় শ্রমিককে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর নাম মো. সাইফুল ইসলাম শিকদার। তাঁর গ্রামের বাড়ি খুলনার বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার কলিগাতীর মধ্যপাড়ায়।

এদিকে, উদ্ধারের সময় মো. সাজ্জাদ হোসেন (২০) নামে এক শ্রমিকের মরদেহ পাওয়া যায়। তাঁর বাড়ি জেলা সদরের কলেজগেট এলাকায়।

এ ঘটনায় নিহত পরিবারের স্বজনদের হাতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রতিশ্রুত এক লাখ করে অনুদান হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিষদের পক্ষে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল্লাহ, জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী,  সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল, মানিক পাটোয়ারী প্রমুখ।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, নিহত মো. সাইফুল ইসলাম শিকদারের মরদেহ তাঁর বাগেরহাটের বাড়িতে পৌঁছানো পর্যন্ত যাবতীয় খরচ পরিষদ বহন করছে। এছাড়া সদর হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন পাঁচজনের চিকিৎসা, ওষুধ ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তদন্ত করে দেখা হবে। এরই মধ্যে জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়াকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সদস্য গণপূর্ত প্রকৌশলী। তাঁদেরকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।’