জ্বালানির চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে কাতার

Looks like you've blocked notifications!
স্বল্পোন্নত দেশসমূহবিষয়ক জাতিসংঘের ৫ম জাতিসংঘ সম্মেলনের পাশাপাশি ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) অনুষ্ঠিত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক। ছবি : বাসসের প্রতিবেদন থেকে নেওয়া

বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে কাতার বাংলাদেশের পাশে থাকবে। স্বল্পোন্নত দেশসমূহবিষয়ক জাতিসংঘের ৫ম জাতিসংঘ সম্মেলনের পাশাপাশি ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) অনুষ্ঠিত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে এ আশ্বাস দেওয়া হয়। বৈঠকে শেখ তামিমের কাছে আরও জ্বালানি, বিশেষ করে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেখে রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল রোববার (৫ মার্চ) কাতারের রাজধানী দোহায় জাতিসংঘ আয়োজিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলনের (এলডিসি৫) ফাঁকে কাতারের আমিরের সঙ্গে কথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ৪০ কনটেইনার অর্থাৎ এক দশমিক ৮ থেকে দুই দশমিক ৫ (এমটিএ) জ্বালানি আমদানি করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমিরকে বলেছেন, ‘আমরা আপনার সহযোগিতা চাই। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ জ্বালানি সমস্যা মোকাবিলা করছে। আমি আরও জ্বালানি চাই…আমি চুক্তি নবায়ন করব। আমি আরও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) চাই।’

এর জবাবে কাতারের আমির জিজ্ঞেস করেন, বাংলাদেশ কতটা জ্বালানি চায়? এ প্রশ্নের জবাবে তাঁকে বলা হয়, বাংলাদেশ আরও একটি এমটিএ অর্থাৎ আরও ১৬-১৭ কনটেইনার জ্বালানি চায়।

এরপর কাতারি আমির শেখ তামিম জানান, এ ব্যাপারে কথা বলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতার ছাড়ার আগেই দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

কাতারের আমির বলেছেন, ‘আমি আপনাকে সহযোগিতা করতে চাই। কাতার সব সময় বাংলাদেশের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে।’

দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠকে শেখ তামিমকে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর জবাবে তিনি জানান, এ বছরই ঢাকা সফর করবেন তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ তামিমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছে, যেখানে কাতার বিনিয়োগ করতে পারে।

এরপর প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিষয়টি উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশিরা কাতারে কাজ হারাচ্ছেন। এ বিষয়টি যেন তিনি দেখেন।

এর জবাবে কাতারের আমির বলেছেন, তিনি সবসময় বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশি মানুষদের ভালো চান।