জ্বালানি তেল নিয়ে যা জানালো বিপিসি

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আগামী ৩২ দিনের ডিজেল এবং নয় দিনের অকটেন মজুত আছে। এ ছাড়াও ছয় মাসের তেল আমদানি নিশ্চিত করা আছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আজ বুধবার দুপুরে জ্বালানি সরবরাহ ও মজুতের বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আগামী ৩২ দিনের ডিজেল এবং নয় দিনের অকটেন মজুত আছে। এ ছাড়াও ছয় মাসের তেল আমদানি নিশ্চিত করা আছে।’
এ বি এম আজাদ আরও বলেন, ‘চার লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন ডিজেল দেশে মজুত রয়েছে। আর অকটেন রয়েছে ১২ হাজার ২৩৮ মেট্রিক টন। আগামী ৩০ জুলাই দেশে পৌঁছাবে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল।’
‘দেশে ৪৪ দিনের জেট ফুয়েল এবং ৩২ দিনের ফার্নেস অয়েল মজুত আছে’ উল্লেখ করে ‘গ্রাহকদের তেল কম কেনার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এমনকি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হলেও তেলের সরবরাহ ঠিক রাখার পরিকল্পনা নেওয়া আছে’ বলেও দাবি করেন বিপিসি চেয়ারম্যান।
এদিকে, জ্বালানি ব্যবহার সাশ্রয়ে মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকার এবং গাড়িতে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকার ডিজেল বা অকটেন নেওয়া যাবে—তেলের পাম্পে টানিয়ে রাখার বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলেও বিপিসি বলছে দেশে তেলের সংকট নেই; যা মজুত আছে, তাতে আগামী এক মাস চলা যাবে। এ ছাড়াও আরও ছয় মাসের তেল অর্ডার (আমদানির আদেশ) করা আছে।