জয়পুরহাটে দুই পৌরসভায় বিধিনিষেধ আরোপ
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জয়পুরহাট পৌরসভাসহ সদর উপজেলা ও পাঁচবিবি পৌরসভা এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ চলবে। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলায় করোনা সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে বিকেলে এই বিধিনিষেধের ঘোষণা দেয় জেলা প্রশাসন। পরে এ সংক্রান্ত মাইকিংও করা হয়।
বিধিনিষেধ অনুযায়ী, জয়পুরহাট পৌরসভাসহ সদর উপজেলা ও পাঁচবিবি পৌরসভা এলাকায় প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শপিংমল, খুচরা ও পাইকারি বাজার, কাঁচাবাজার, হোটেল-রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান এবং গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে ওষুধ, চিকিৎসাসেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকারের কাজে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব দপ্তর ও সংস্থা এই বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে না। সেই সঙ্গে সব ধরনের সরবরাহ ব্যবস্থাপনা, কৃষিপণ্য বা খাদ্যসামগ্রী পরিবহণ ও দূরপাল্লার আন্তজেলা পরিবহণ সেবা এই আদেশের আওতাবহির্ভূত থাকবে। এ ছাড়া সব কমিউনিটি সেন্টার, পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ বা মানুষের জমায়েত হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত জয়পুরহাট পৌরসভাসহ সদর উপজেলা ও পাঁচবিবি পৌর এলাকার সব গরুর হাট বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এসব বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও জানানো হয়, জেলায় করোনার সংক্রমণ বেশি দেখা গেলে বিধিনিষেধ আরও কঠোর অথবা পুরো লকডাউন দেওয়া হতে পারে। এ সব বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। পরবর্তী সময়ে করোনার সংক্রমণ কমে এলে আরেকটি আদেশ জারি করা হবে। যদি সংক্রমণ বেশি হয়, তাহলে বিধিনিষেধ আরও কঠোর অথবা পুরো লকডাউন হতে পারে। এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।’
এদিকে, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটে দিন দিন করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। জয়পুরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।