ঝালকাঠিতে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০

Looks like you've blocked notifications!
ঝালকাঠিতে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সঙ্গে আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ বাধে। ছবি : এনটিভি

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ উপজেলা বিএনপির।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শহরের বাইপাস সড়কে দলীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ডাকে রাজাপুর উপজেলা বিএনপি। সম্মেলনকে ঘিরে সকাল থেকে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। অন্যদিকে, একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির প্রতিবাদে সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। দুপক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে তাঁদের সরিয়ে দেয়।

বিএনপির দাবি, এ ঘটনার পর তাঁদের নেতাকর্মীরা শহরের বাঘড়ি এলাকায় জড়ো হন। এসময় সেখানেও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে দুপক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়।

রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. নাসিম আকন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সম্মেলন পণ্ড করতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে। তাঁরা বিএনপি অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালিয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে সম্মেলন করতে না পেরে বাঘড়ি এলাকায় গেলে মোটরসাইকেলে এসে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের পাঁচ থেকে ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’

রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ বাবু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলে করে বাঘড়ি এলাকায় গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে আমাদের চার থেকে পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’

দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশ লাঠিচার্জের তথ্য নিশ্চিত করে রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা এনটিভি অনলাইনকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ ঘটনায় এসআই মামুনও আহত হয়েছেন।

ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সার্কেল) মো. মাসুদ রানা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’