অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে করা দুদকের মামলায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। 

এদিন কামরুন নাহার বেগম (শিমু) নামের এক ফ্ল্যাট বিক্রেতা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। জেরা শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বিচারক আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। এ মামলায় এই পর্যন্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘আজ আসামি ডিআইজি মিজান ও তাঁর ভাগনে মাহমুদুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে, এ মামলায় ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোটভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক থাকায় তাদের হাজির করা সম্ভব হয়নি।’

নথি থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মিজান ছাড়া অপর আসামিরা হলেন—মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসান।

এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ করা হয়।