ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বড় অবদান রয়েছে : আতিউর রহমান

Looks like you've blocked notifications!
ড. আতিউর রহমানের ফাইল ছবি এনটিভির

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বড় অবদান রয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘কাগজের অর্থ ডিজিটালে রূপান্তর : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রা গ্রহণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

এ সময় ড. আতিউর বলেন, ‘মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ইন্টার-অপারেবল সিস্টেম চালু হলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দ্বিগুণ হতো। বর্তমানে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠান প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার, সেটা বেড়ে চার বিলিয়ন না হলেও তিন বিলিয়ন হতো। এতে করে কমে যেত হুন্ডি ব্যবসাও।’  

আতিউর রহমান বলেন, ‘মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন তিন হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ইন্টার-অপারেবল সিস্টেম চালু হলে গ্রাহকরা আরও বেশি সুবিধা পাবেন। মোবাইল ব্যাংকিং এখন এতোটাই মানুষের হাতের নাগাল এসেছে যে, একজন রিকশাওয়ালাও দিনে দুইবার বাড়িতে টাকা পাঠান। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বড় অবদান রয়েছে।’

ড. আতিউর আরও বলেন, ‘জিডিটাল ব্যাংকিংয়ের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকও সেন্টাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি) কার্যক্রমের ব্যাপারে একটু ধীর গতিতে এগোচ্ছে। সেটা সমস্যা নয়, তারা আস্তে আস্তে ক্যাশলেস পেমেন্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’

উন্নয়ন সমন্বয় প্রতিষ্ঠানের এই চেয়ারপারসন বলেন, ‘এ বিষয়গুলোতে জোর দিলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। যেখানে কৃষক থেকে শুরু করে সবাই সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করবে।’ ডিজিটাল লেনদেনের ফলে করোনার পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেও দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমাজিং ক্রেডিট বেটিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান জামালউদ্দিন আহমেদ। এতে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোট ছয় বছরে পণ্য আমদানি রপ্তানি খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। ডিজিটালাইজেশন হলে এই পাচার রোধ করা সম্ভব হবে।

সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন আইটি প্রফেশনাল ইন অস্ট্রেলিয়ার ড. মিজানুর রহমান, অস্ট্রেলিয়ার সিকিউ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ল’ বিভাগের ড. মাসুদ ঈসা, কান্ট্রি ম্যানেজার, মাস্টারকার্ডের সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল ও উন্নয়ন সমন্বয়ের ইমেরিটাস ফেলো খন্দকার শাখাওয়াত আলী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম। সেশনটি পরিচালনা করেন স্কলারস বাংলাদেশ সোসাইটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহপ্রতিষ্ঠাতা দিলারা আফরোজ খান রূপা।