ডিবি পরিচয়ে ভোজ্যতেল লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

Looks like you've blocked notifications!
ভোজ্যতেল লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া চার ব্যক্তি। ছবি : এনটিভি

গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে সড়কে ট্রাক আটকে ভোজ্যতেল লুটের ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর খিলগাঁও, সবুজবাগ ও কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এরই মধ্যে গতকাল রোববার বিকেলে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে তিন জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া এক আসামি জবানবন্দি না দেওয়ায় তাঁকে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। আগামীকাল মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানি হবে বলে জানা গেছে। এর আগে সব আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার সকালে পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ঢাকার খিলগাঁও এলাকার মো. আরিফ মিয়া (২৫), সবুজবাগ এলাকার আজগর আলী (২০), একই এলাকার মো. শাকিব (২০) ও বরগুনা সদর উপজেলার মো. আব্দুল খালেক (৪০)।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত চারটি টর্চ, ১০টি মোবাইল, মোটরসাইকেল, সেনাবাহিনীর পোশাক সদৃশ একটি প্যান্ট, চেক, নগদ ১৩ হাজার টাকা ও ১১ হাজার ১৬০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে।

গত ১৫ আগস্ট রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ১১ হাজার ১৬০ লিটার (৬০ ড্রাম) তেল কেনেন গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ। ওইদিন রাতে তেল ট্রাকে লোড করে গাজীপুরের শ্রীপুরের উদ্দেশে রওনা দেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ফারুক মিয়া। ট্রাকটি রূপগঞ্জ এলাকায় যেতেই একটি প্রাইভেটকার ট্রাকটির পথরোধ করে। ট্রাকের চালক গাড়ি থামালে ডিবি পরিচয়ে ট্রাকে ওঠে ডাকাতেরা। তারা ম্যানেজার ফারুক মিয়া, চালক রুহান মিয়া ও তাঁর সহকারীর চোখ-মুখ বেঁধে প্রাইভেটকারের পেছনের ডেকিতে রাখে। পরে ডাকাতদলের একজন ট্রাকটি নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে যায় এবং সেখানে ওই ট্রাক থেকে তেল অন্য ট্রাকে তোলার পর ম্যানেজার, চালক ও তাঁর সহকারীকে সড়কে ফেলে চলে যায়।

পরদিন ১৬ আগস্ট ভোরে ম্যানেজার ফারুক মিয়া ত্রিশাল থানায় সয়াবিন তেল লুটের বিষয়টি জানালে পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করে। পরে ম্যানেজার ফারুক মিয়ার কথা মতো বিষয়টি ফুলপুর থানা পুলিশকে জানায় ত্রিশাল থানা।

ওইদিন রাতে ফুলপুর থানা পুলিশ উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের বড় চিলাগাই এলাকার শাহজাহান সাজুর দোকান থেকে ৪৪ ড্রামে আট হাজার ১৮৪ লিটার তেল জব্দ করে।

পরে  ২০ আগস্ট তেলের মালিক আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ বাদী হয়ে ফুলপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে হালুয়াঘাট থেকে বাকি ১৬ ড্রাম তেল জব্দ করে।

পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পেশাদার ডাকাতদলের সদস্য।