ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পেতে চলছে দৌড়ঝাঁপ

Looks like you've blocked notifications!
ছাত্রলীগের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সম্মেলনের আগেই হতে চলেছে ঢাকার দুই মহানগরের সম্মেলন। উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলনের দিনক্ষণও ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ২ ডিসেম্বর হবে এই সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদকে ঘিরে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। কমিটিতে স্থান পেতে শুরু হয়েছে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ।

বিভিন্নসূত্রে প্রায় ডজন খানেক পদপ্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের কাছে যাচ্ছেন বলে দাবি অনেকের। যদিও ছাত্রলীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের চাওয়া—দৌড়ঝাঁপে নয়, সংগঠনের সব ধরনের পরিস্থিতিতে যারা শক্ত হাতে হাল ধরে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা রাখেন, তারাই নেতৃত্বে আসুক।

আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেও তেমনটাই জানা গেছে। তাদের ভাষ্যমতে,  পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা ভালো, রয়েছে ক্লিন ইমেজ, পরিবারের সঙ্গে জামায়াত-বিএনপির কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই, অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী; তারাই আগামীর নেতৃত্বে আসবেন। এ ছাড়াও যারা শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় এবং মানবিক কাজ করে আলোচনায় আসতে পেরেছেন, এমন ছাত্রনেতারাও এগিয়ে থাকবেন।

এবার ঢাকা মহানগর ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের শীর্ষ পদের দৌড়ে যাদের নাম আলোচনায় শোনা যাচ্ছে, তারা হলেন—ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালমান খান প্রান্ত, ধানমণ্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি, সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ সুমন, মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল, রূপনগর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিঠু, কাফরুল থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান প্রমুখ।

দক্ষিণ ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে শোনা যাচ্ছে দক্ষিণ ছাত্রলীগের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম রাকিবুল হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার খালিদ হাসান, সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সজল কুণ্ডু, কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপসম্পাদক মাইনুল হাওলাদার, দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. হাফিজুর রহমান বিপ্লব দক্ষিণ ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক উপসম্পাদক এস এম মেহেদী হাসান প্রমুখের নাম।

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী সালমান খান প্রান্ত এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ছাত্রলীগ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বিপ্লবী বাংলার বিপ্লবী সংগঠন। এর কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে এবং মনে লালন করে। ছোটবেলায় বাপ-চাচাদের হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পথচলা শুরু। আওয়ামী পরিবারের সন্তান আমি। দলের জন্য ছাত্রলীগের জন্য সব সময় কাজ করেছি ভবিষ্যতেও করব। যতদিন বেঁচে আছি, দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাব, অপশক্তিকে রুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাই আমার লক্ষ্য।’

দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছে, যাদের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা আছে, যারা ত্যাগী; আমাদের প্রত্যাশা—তারা পদে আসুক।’

আর সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ বলেন, ‘ঢাকা মহানগর দক্ষিণ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এলাকা। এখানে অতীতে যারা রাজপথে ভূমিকা রেখেছেন, তারাই আগামীর নেতৃত্বে আসুক, এটাই আমরা চাই।’

মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘অতীতের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন নেতৃত্বে যৌগ্য ও ত্যাগীরা পদ পাবেন, এটাই কামনা করি।’

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঢাকা মহানগরে যারা কাজ করেছেন, তাঁরাই যেন পদে আসেন, আমারা সেটাই চাই। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্যের বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে বলে মনে করি।’