ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ৪ কিলোমিটার যানজট

Looks like you've blocked notifications!
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) টোল আদায়ের প্রথম দিন ধীরগতি দেখা গেছে। ছবি : এনটিভি

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নামে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে যানবাহনে টোল আদায় শুরু হয়েছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার এবং পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় টোল প্লাজার সামনে একসঙ্গে একত্রিত হয়ে যানবাহনের ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের ধলেশ্বরী এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গায় টোল প্লাজা স্থাপন করা হয়েছে। ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দশটি বুথেটি স্থাপন করা হয়েছে। এসব বুথের মাধ্যমে টোল আদায় করা হচ্ছে।

এর আগে মহাসড়কে টোল আদায়ে গত বুধবার অপারেটর কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের (কেইসি) সঙ্গে চুক্তি করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। এ মহাসড়কে দুটি টোল প্লাজা ধলেশ্বরী ও ভাঙ্গা প্রান্তে করা হয়েছে।

ধলেশ্বরী টোল প্লাজা থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। ধলেশ্বরী বুথে ছয়টি বুথের মাধ্যমে টোল নেওয়া হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জ জোনের সওজ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিয়ান রেজা জানান, গতকাল রাত ১২টার মধ্যে কেইসি টোল আদায়কারী সংস্থাকে টোল প্লাজা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারাই টোল কালেকশন ও অপারেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গড়ে প্রতিদিন আগে পাঁচ থেকে ছয় হাজার গাড়ি এ সড়কে চলতো। এখন প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার গাড়ি চলাচল করছে। তাই, টোল প্লাজার সামনে অনেক গাড়ি এসে পড়ায় ধীর গতি দেখা গেছে। প্রায় চার কিলোমিটার পর্যন্ত এ ধীরগতি রয়েছে। তবে, কয়েক দিন গেলে হয়তো গাড়ির চাপ কমে যাবে।