ঢাবিতে গাড়ি দুর্ঘটনা : সাবেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রাইভেটকারের নিচে চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু হয় শুক্রবার বিকেলে। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রাইভেটকারের নিচে চাপা পড়ে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় গাড়ির চালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মোহাম্মদ আজহার জাফর শাহ’র বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদ এ আদেশ দেন। আদালতে শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ আদালতে মামলার এজাহার ও এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) এলে বিচারক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন নির্ধারণ করেন। 

গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে নিহত নারী রুবিনা আক্তারের ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় সড়ক পরিবহণ আইনে মামলাটি করেছেন। মামলায় সড়ক পরিবহণ আইনের ৯৮ ও ১০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় একজনই আসামি।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার মোটরসাইকেলযোগে তেজগাঁওয়ের বাসা থেকে বোনের বাসা হাজারীবাগে যাচ্ছিলেন রুবিনা আক্তার। শাহবাগ জাদুঘরের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দিয়ে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত নিয়ে আসে। ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৪টা ৪০মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রুবিনা আক্তার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা।

যে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন রুবিনা, ওই মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন তাঁর বোনজামাই নুরুল আমিন। নুরুল আমিন গতকাল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রুবিনা আক্তার আমার সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে তেজগাঁওয়ের বাসা থেকে তাঁর বোনের বাসা হাজারীবাগে যাচ্ছিলেন। শাহবাগ জাদুঘরের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত নিয়ে আসে।’

নুরুল আরও বলেন, ‘আমি পেছন থেকে প্রাইভেটকারের চালককে ডাকতে ডাকতে এক কিলোমিটার চলে আসি। কিন্তু চালক গাড়ি থামাননি। পরে নীলক্ষেত মোড় এলাকায় এলে আশপাশের লোকজন গতিরোধ করে চালককে গণধোলাই দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রুবিনা আক্তারকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।