ঢামেক হাসপাতালে ১৬ ঘণ্টায় আসা ৯৫ ভাগ রোগীই মৌসুমি কসাই!

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরের মেঝেতে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। যার অধিকাংশই মৌসুমি কসাইদের রক্ত, যারা শুধুমাত্র ঈদের দিন কোরবানির পশু কাটাকাটি করেন।

আজ রোববার সকাল থেকে ঢামেকের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা ব্যস্ত এসব রোগীদের নিয়ে। জানা গেছে, গতকাল রোববার দিনগত রাত থেকে আজ দুপুর ৪টা পর্যন্ত মোট ১৬ ঘণ্টায় সেখানে আসা নতুন রোগীদের ৯৫ ভাগই মৌসুমি কসাই।

সাব্বির আহম্মেদ। তিনি আজ কোরবানির পশু কাটাকাটি করেছেন। এসময় দায়ের কোপ লেগেছে পায়ে। এতে আহত হয়েছেন তিনি। তারপর চিকিৎসা নিতে এসেছেন ঢামেক হাসপাতালে।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে যখন সাব্বিরের কথা হয়, তখন তিনি বলেন, ‘কখনও গরু কাটাকাটি করিনি। এবারই প্রথম। গরুর হাড়ে কোপ দিয়েছি, স্লিপ করে লেগেছে পায়ে। অনেক কেটে গেছে। এখন মনে হচ্ছে ঈদটাই মাটি হলো।’

সাব্বিরের মতো অনেকেই আজ গরুর লাথি-গুতা খেয়ে ও দায়ের কোপে আহত হয়ে এসেছেন ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। এদের একজন নাসির উদ্দিন। তাঁর হাতের একটি অঙুলের মাথা পুরোপুরি কেটে পড়ে গেছে।

আজ সোমবার দুপুর দুইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় নাসিরকে। তিনি বলছিলেন, ‘পায়ে কোপ লেগেছে। জানি না কতদিন এ সমস্যায় দিন কাটাতে হবে।’

এসব নিয়ে কথা হচ্ছিল জরুরি বিভাগের সেবিকা মিনাক্ষী রানি দাসের সঙ্গে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘গতকাল শনিবার দিনগত রাত ১২টা থেকে আজ বিকেল তিনটা পর্যন্ত জরুরি বিভাগে রোগী এসেছে ১৩১ জন। যাদের প্রায় সবাই গরু-ছাগল কাটাকাটি করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। নতুন রোগীদের ৯৫ ভাগই মৌসুমি কসাই। এ ধরনের রোগী আরও আসার আশঙ্কা রয়েছে।’

এসব বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আজ যেসব রোগী এসেছে, অধিকাংশই মৌসুমি কসাই। তাঁরা পশু কাটাকাটিতে অভ্যস্ত না। ফলে, প্রচুর মানুষ আজ গরু-ছাগল কাটতে গিয়ে আহত হয়েছে।’