তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী আজ

Looks like you've blocked notifications!
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ। ছবি : ফাইল ছবি

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী আজ ২৩ জুলাই। এদিনে তাঁকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে। 

তাতে বলা হয়, ‘২৩ জুলাই বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং মুক্তিযুদ্ধকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী। বঙ্গতাজের জন্মদিনে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

তাজউদ্দীন আহমদ ১৯২৫ সালের এই দিনে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশের রাজনীতিতে মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততার অনন্য প্রতীক তাজউদ্দীন আহমদ। আওয়ামী লীগের গঠনপ্রক্রিয়ার মূল উদ্যোক্তাদেরও একজন তিনি। ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনায় সফল ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবার নিহত হওয়ার পরদিন তাজউদ্দীন আহমদ গৃহবন্দী হন। ওই বছরের ২২ আগস্ট তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। কারাগারে বন্দী অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর অপর তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে তাঁকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাজউদ্দীন আহমদ ও সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ ২০০৯ সালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১২ সালে তিনি সংসদ সদস্য পদও ছেড়ে দেন।

সোহেল তাজ গত এপ্রিল মাসে গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন। তাঁর দাবিগুলো ছিল—এক. ১০ এপ্রিলকে (১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ গণপরিষদ গঠিত হয়) প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা করতে হবে। দুই. ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে। তিন. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সব ব্যক্তির অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।