তিন ফসলি জমিতে স্থাপনা না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
নিজ কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ সোমবার সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা

তিন ফসলি জমিতে কোনো ধরনের স্থাপনা না করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী তিন ফসলি জমিতে কোনো ধরনের স্থাপনা না করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা সবাইকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেব।

সচিব আরও বলেন, ‘ওষুধ ও কসমেটিক আইন-২০২৩’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ আইনে ভেজাল ওষুধ মজুত ও বিক্রি করলে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা বিধান করার কথা বলা হয়েছে।’

প্রস্তাবিত আইনটির খসড়ায় ওষুধ ও কসমেটিক পণ্য আমদানি, উৎপাদন, মজুত, সরবরাহ ও বিক্রির ক্ষেত্রে এ আইনের কোনো ধারা লঙ্ঘন করলে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানার কথা বলা হয়েছে।

চিকিৎসকের পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রির বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে নতুন আইনে।

সচিব বলেন, ‘দেশে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অনেকে নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ নেন। ওষুধের দোকানগুলোও নির্বিচারে এ ধরনের ওষুধ বিক্রি করে। অ্যান্টিবায়োটিকের এই অপব্যবহার ঠেকাতে নতুন এ আইন ভূমিকা রাখেন।’

মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আইন অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ফার্মেসি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না। কেউ বিক্রি করলে তার লাইসেন্সও বাতিল হবে। কসমেটিক বিক্রি ও উৎপাদনেও নতুন করে লাইসেন্স নিতে হবে।’

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি শরীর প্রতিরোধ গড়ে তুললে সে অবস্থাকে বলা হয় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। আর এই প্রবণতার কারণে প্রতি বছর বিশ্বে সাত লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। ২০৫০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াতে পারে এক কোটিতে।