দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪ হাজার ৯৪১ কর্মী পাঠিয়ে রেকর্ডের পথে বোয়েসেল

Looks like you've blocked notifications!
বোয়েসেল লোগো। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) চলতি বছর এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় চার হাজার ৯৪১ জন কর্মী পাঠিয়ে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে।

২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া এক হাজার ৯৪১ জন বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার কোটা ঘোষণা করে। বোয়েসেল ছয় মাসের মধ্যে কোটা পূরণ করেছে। এ কারণেই দক্ষিণ কোরিয়া দুই ধাপে অতিরিক্ত কোটা ঘোষণা করেছে। বোয়েসেল আশা করছে, তারা এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কোটা পূরণ করতে পারবে।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশি ইপিএস কর্মীদের গ্রহণ স্থগিত রেখেছিল।

মহামারি কমার পর দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে আবার কর্মী নেওয়া শুরু করেছে। বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকদের যাওয়ার আগে ও কোরিয়ায় পৌঁছানোর পরে কঠোর কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।

সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্ভব হলে, ২০০৮ থেকে বাংলাদেশে কোরিয়ার ইপিএস কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে সে দেশে নিযুক্ত মোট শ্রমিকের সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ।

এর আগে ২০১৮ সালে, সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩৫৫ বাংলাদেশি কর্মী ইপিএসের মাধ্যমে গিয়েছিলেন।

বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বাসসের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘বোয়েসেল দ. কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনতে ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস এবং ইপিএস সেন্টারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।

অতিরিক্ত সচিব ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ায় শিল্পকারখানায় কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশি শ্রমিকরা ন্যূনতম মাসিক এক হাজার ৮০০ ডলার বেতন পান।’

কোরিয়ার ইপিএস সিস্টেম এবং বিদেশিকর্মী নীতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) দ্বারা স্বীকৃত। কোরিয়ায় উচ্চ বেতন, সমান শ্রম অধিকার এবং কর্মসংস্থান বীমা, শিল্প দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ বীমা, জাতীয় পেনশন এবং জাতীয় স্বাস্থ্য বীমাসহ চার শ্রেণির বীমা নিশ্চিত করা হয়।

ইপিএসের মাধ্যমে ২৫ হাজার ৮৭৭ জনের বেশি বাংলাদেশি কর্মীকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বাংলাদেশি কর্মীদের রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১৩৫ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ডলার। দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের রেমিট্যান্স আয়ের ১৫টি প্রধান উৎসের অন্যতম।

দুই সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার পর, বোয়েসেল ২০০৮ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠাচ্ছে।