দফা একটাই এই সরকারের পদত্যাগ : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আগামী ১১ জানুয়ারির জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকবেন। আমরা ১০ দফা নিয়ে মাঠে নেমেছি। আসলে দফা একটাই এই সরকারের পদত্যাগ। সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। জনগণের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটের দিকে মগবাজারে গণমিছিল শেষে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৭২ সাল থেকে যত খুন হয়েছে আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এর বিচার হবে জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এই জণগণকে ঠেকিয়ে রাখার ক্ষমতা কারও নাই। লড়াই আমাদের করতে হবে। সেই লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে।
এর আগে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধী সমমনা দলগুলোর প্রথম যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি গণমিছিল পালন করা হয়। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে গণমিছিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টার দিকে মগবাজারে।
এদিকে এ গণমিছিল ঘিরে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেয় বিএনপির হাজারও নেতাকর্মী। তাদের অবস্থানের কারণে এসব এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি কাকরাইল মোড়, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক ও মগবাজার গিয়ে আবার একই পথে নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়। মিছিলটি যখন শুরু হয় তখন মিছিলের শেষ মাথা মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত দেখা যায়।
মিছিলে যারা ছিলেন- তারা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এবং গণমিছিলের সমন্বয়ক ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বেনজীর আহমেদ টিটো, তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, নবীউল্লাহ নবী, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, হাবিবুর রশীদ হাবিব, বেলাল আহমেদ, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, হায়দার আলী লেলিন, খান রবিউল ইসলাম রবি প্রমুখ।
এদিকে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মগবাজার মোড় থেকে পুরান পল্টন পর্যন্ত সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় এসব এলাকায় পুলিশের এপিসি গাড়িকেও টহল দিতে দেখা গেছে।