দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে সবাইকে ধৈর্য ধরতে বললেন মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বসে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অবস্থান। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দফায় দফায় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি অনুরোধ করে বলব—সবাই যেন ধৈর্যসহ অপেক্ষা করেন।’

তার আগে পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে নেতাকর্মীরা অলিগলি ও কার্যালয়ের মধ্যে অবস্থান নেন। পরে সেখানেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। তারাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে।

এ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি এখনো কিছু জানি না। আমি অফিসে যাব, শুনব, তারপর বলতে পারব।’

জনসভাকে ঘিরে আপনারা আজ কী প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন—গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের জানানোর কথা, কোথায় তারা জায়গা দেবেন। সেজন্য আজকে এখানে অপেক্ষা করছিলাম।’

এর কিছুক্ষণ পর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আটক করা হয়। আজ বুধবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে তাঁকে আটক করে গাড়িতে তোলা হয়। পরে বিএনপি কার্যালয়ের ফটকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। এরপর তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বসে পড়েন।

বিএনপি মহাসচিব এ সময় বলেন, ‘আমি কার্যালয়ে ঢুকতে চেয়েছিলাম। আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’

এর আগে আজ বিকেল ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এখনও দফায় দফায় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। নেতাকর্মীরা অলিগলি ও কার্যালয়ের মধ্যেও অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে, সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিকেল ৪টার সময় কার্যালয়ের গেটের বাইরে আসার চেষ্টা করেন নেতাকর্মীরা। তখনই পুলিশ কার্যালয়ের ভেতরে টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করেন। তারপর নেতাকর্মীরা ভেতর চলে যান। পুলিশের টিয়ারশেলের আঘাতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্যরাও।

সোয়া ৪টার দিকে মতিঝিল বিভাগের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়কে অবস্থান নিলে আমরা তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করি। কিন্তু, তারা সরতে চায় না। পরে নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তারপর আত্মরক্ষার জন্য আমরা তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি।

দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি আশা করব এই মুহূর্ত থেকে নয়াপল্টন পার্টি অফিসের সামনে থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হবে। একটা পার্টি অফিসের সামনে এভাবে পুলিশ দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা, আমাকে অফিসে ঢুকতে না দেয়া অন্যায়। এটা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে চলতে পারে না। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে পার্টি অফিসে এসেছি। আমাকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।