দিনাজপুরের ৩৫০০ টন আলু যাবে বিদেশে

Looks like you've blocked notifications!
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ক্ষেত থেকে আলু তুলছেন কৃষক। ছবি : এনটিভি

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন আলুর বিদেশে রপ্তানি হবে। এ খবরে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। এর আগে এ উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলনের পর দাম কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন তাঁরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর তিন হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে ৬৬ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ৪৪৮ মেট্রিক টন আলু বিদেশে রপ্তানি হবে। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে সাগিতা, গ্রানুলা, ডায়মন্ড, কুমরিকা, সার্পোমিরা, সেভেন জাতের আলু রপ্তানির কার্যক্রম এরই মধ্যেই শেষ হয়েছে।

উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আলীম, আইনুল হক, একরামুল হক, আতিকুর রহমান টুকু বিদেশে আলু রপ্তানি করেছেন। তাঁরা জানান, জমি থেকে প্রতি কেজি আলু ১২ থেকে ১৪ টাকা দরে বিক্রি করছেন কৃষক। গত বছর এই অর্ধেক মূল্যে বিক্রি হয়েছে আলু।

উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘উপজেলা থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদেশে আলু রপ্তানিতে আশার আলো দেখছেন কৃষক। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারেও এখন দাম বেশ ভালো। জমি থেকে প্রতি কেজি আলু ১২ থেকে ১৩ টাকা দরে বিক্রি করছেন কৃষকেরা। কিছুদিন আগেও বিক্রি হতো সাত থেকে আট টাকায়। এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় দাম পেয়ে কৃষক বেশ খুশি। আমরাও চাই কৃষক যেন আলু চাষ করে বেশি লাভবান হতে পারেন।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রপ্তানিযোগ্য আলুর চাষ দিন দিন বাড়ছে। আগামী বছর এর পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এখন থেকে আমাদের নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিযোগ্য আলু চাষাবাদ করতে হবে। এ জন্য কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক কলাকৌশল বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ওই প্রকল্পের আওতায় রপ্তানিযোগ্য জাতের আলুর চাষাবাদ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।’