দিনাজপুরে ১৯টি শকুন সুস্থ করে অবমুক্ত করল বন বিভাগ

Looks like you've blocked notifications!
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় সিংড়া জাতীয় উদ্যানে বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহকৃত শকুনদের নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার পর প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে শনিবার প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছবি : এনটিভি

শীতের মৌসুমে দিনাজপুর জেলাসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অসুস্থ বা খাদ্যাভাবে দুর্বল শকুনদের সংগ্রহ করা হয়। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় সিংড়া জাতীয় উদ্যানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এই সংগ্রহকৃত শকুনদের নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার পর প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারই কর্মসূচি হিসেবে এবার সুস্থ ১৯টি শুকুন অবমুক্ত করা হলো।

জানা গেছে, প্রচণ্ড শীতে উত্তরের হিমালয় থেকে খাদ্যের সন্ধানে এসে অসুস্থ হয়ে লোকালয়ে আছড়ে পড়ে ১৯টি শকুন। এগুলোকে খাদ্য ও চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আকাশে ডানা মেলে শকুনগুলো আবারও হিমালয়ের দিকে উড়ে যায়। এর আগে শীতের সময় এসব শকুন খাদ্যের সন্ধানে ভারত, নেপাল থেকে উড়ে বাংলাদেশে আসে।

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর ও আইইউসিএন বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে বীরগঞ্জ উপজেলায় সিংড়া জাতীয় উদ্যান প্রাঙ্গণে শকুন অবমুক্তকরণ ও সচেতনতামূলক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন।

বগুড়া সামাজিক বন অঞ্চল, বন সংরক্ষক মো. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বন অধিদপ্তরের উপপ্রধান বন সংরক্ষক ও প্রকল্প পরিচালক (সুফল প্রকল্প) গোবিন্দ রায়, ঢাকা বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম, ঢাকা বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক ও বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন, দিনাজপুর সামাজিক বনবিভাগ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল আল-মামুন, রাজশাহী বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মদ নিয়ামুর রহমান, আইইউসিএন বাংলাদেশ এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকিবুল আমিন, বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু প্রমুখ। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন আইইউসিএন বাংলাদেশের এসপিও এবিএম সারোয়ার আলম দিপু।

সচেতনতামূলক আলোচনা সভা শেষে দৃষ্টিনন্দন এলাকার জনগণের উপস্থিতিতে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ এক এক করে প্রায় ১৯টি শকুন অবমুক্ত করেন।

শকুনদের ছেড়ে দেওয়ার সময় প্রতিটির পায়ে আন্তর্জাতিকভাবে একটি বিশেষ চিহ্ন দেওয়া হয়; যেন বহিঃবিশ্বে বুঝতে পারে এটি বাংলাদেশের পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে এসেছে।