দুই দফা দাবিতে বড়পুকুরিয়া খনি শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

Looks like you've blocked notifications!
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লখনির দেশি শ্রমিকরা দুই দফা দাবিতে খনি গেটের সামনে পরিবার-পরিজন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি। ছবি : এনটিভি

দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির দেশি শ্রমিকরা দুই দফা দাবিতে আজ বুধবার দুপুর ১২টা থেকে খনি গেটের সামনে পরিবার-পরিজন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

গত রোববারের (২৪ এপ্রিল) পূর্ব ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি অনুযায়ী আন্দোলকারী শ্রমিকরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে আজ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের ব্যানারে দুই দফা দাবিতে খনি গেটে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।

দুই দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, করোনাকালীন লকডাউনের কারণে বাড়িতে অবস্থানকারী শ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মে যোগদান করানো এবং করোনাকালীন বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান করা।

আন্দোলনকারী শ্রমিকরা সবাই কয়লাখনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীন কর্মরত ছিল।

দুই দফা দাবিতে খনি গেটে শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে দাবির সমর্থনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম, শ্রমিকনেতা এহসানুল হক সোহাগ, এরশাদ আলী, আবু তাহের প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, খনির সূচনালগ্ন থেকেই আন্দোলনকারী শ্রমিকরা ভূগর্ভের প্রায় ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কয়লা উত্তোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকে পাশের কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল রেখেছে। করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ওই সময় শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করে।

পরবর্তী সময়ে লকডাউন উঠে গেলেও বাড়িতে অবস্থানকারী শ্রমিকদের তাদের কর্মে ফেরানো হয়নি। একইভাবে তাদের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়নি।

এ বিষয়ে খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেও কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে বেকার শ্রমিকরা দীর্ঘ সময় ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে।

এ কারণে আজ পরিবার-পরিজন নিয়ে খনি গেটে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবির আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

এদিকে কয়লাখনির সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকাল থেকেই কয়লাখনি এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।