দুদিন বন্ধের পর সচল বেনাপোল বন্দর

Looks like you've blocked notifications!
বেনাপোল বন্দরে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি। ছবি : এনটিভি

ধর্মঘটের কারণে টানা দুদিন বন্ধ থাকার পর ফের সচল হয়েছে বেনাপোল বন্দর। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুই দফা ফলপ্রসূ বৈঠকে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেওয়ায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার হলে শুরু হয় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য। ফলে আজ সোমবার সকাল থেকে জমে উঠেছে স্থলবন্দরটি।

সকাল থেকে বন্দর ব্যবহারকারী পাঁচ সংগঠনের কর্মীরা কাজে যোগদান করেছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা মালামাল ভর্তি ৬৫টি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৩০ ট্রাক মালামাল। 

গত ২ মার্চ ভারত থেকে বন্ড লাইসেন্সের (শুল্কমুক্ত) মাধ্যমে আমদানি করা ডেনিম ফেব্রিক্‌সের দুটি চালান বহনকারী ভারতীয় ট্রাকের মধ্যে লুকিয়ে আনা হয় প্রায় অর্ধকোটি টাকার আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল, বিস্ফোরক দ্রব্য, সিগারেট, কারেন্ট জাল, শাড়ি, থ্রি-পিসসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য। এসব পণ্য আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় শিমুল ট্রেডিং এজেন্সি ও আইডিএস গ্রুপের সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পরে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী শাসুল ইসলামের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করা হয়।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটকের দাবিতে ৩ মার্চ সকাল থেকে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ সব ধরনের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় বন্দর ব্যবহারকারী পাঁচটি সংগঠন। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লাইন্সেস পুনর্বহাল এবং মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তাঁরা। এতে অচল হয়ে পড়ে বন্দর।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় কাস্টমস, বন্দর বেনাপোল সিএডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি, বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ও ট্রাক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় আজ থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন তাঁরা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তাঁরা সমস্যাগুলো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দেওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘উভয় পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ায় বন্দর ব্যবহারকারীরা তাঁদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দিয়েছেন।’