দুস্থ নারী ও শিশুদের ৮২ লাখ টাকার অনুদান দেওয়া হবে :  প্রতিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
সচিবালয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বুধবার দুস্থ নারী ও শিশু কল্যাণ তহবিলের বোর্ড অব ট্রাস্টির ২৪তম সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। ছবি : এনটিভি

মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, দুস্থ নারী ও শিশু কল্যাণবিষয়ক তহবিল থেকে নারী-শিশুর দুরারোগ্য রোগ, বার্ধক্যজনিত চিকিৎসা ও শিক্ষা সহায়তা হিসেবে ৮২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুদান প্রাপ্তদের কাছে চেক হস্তান্তর করা হবে।

সচিবালয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বুধবার (৫ এপ্রিল) দুস্থ নারী ও শিশু কল্যাণ তহবিলের বোর্ড অব ট্রাস্টির ২৪তম সভায় অনুদানের জন্য চলমান অর্থবছরে প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনা করে এ অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। 

দুস্থ নারী ও শিশু কল্যাণ তহবিলের বোর্ড অব ট্রাস্টির সভাপতি মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টির সহসভাপতি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, ট্রাস্টির সদস্য অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা। 

আরও উপস্থিত ছিলেন—বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য বাংলাদেশ মহিলা সমিতির প্রতিনিধি সেলিনা খালেক, কন্যাশিশু অ্যাডোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি, অপরাজেয় বাংলার নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, হোসেন আরা সিদ্দিকি জুলি ও রওশন জাহান সাথী।

সভাপতির বক্তব্যে ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অসহায় ও দুস্থ মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ভিডব্লিউবি কর্মসূচির মাধ্যমে ১০ লাখ ৪০ হাজার নারীকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল এবং মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি থেকে ১২ লাখ ৫৪ হাজার মাকে প্রতি মাসে ৮০০ শত টাকা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

এ অর্থবছরে প্রাপ্ত ২ হাজার ৫৮৪টি আবেদনের মধ্যে দুরারোগ্য রোগের ৫০ জনকে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বার্ধক্যজনিত রোগের জন্য ৬০ জনকে ৯ লাখ টাকা, সাধারণ চিকিৎসায় ১৪০ জনকে ১৪ লাখ টাকা, শিক্ষার জন্য ৬৯ জনকে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা, আর্থিক/অন্যান্য ৮০১ জনকে ৪০ লাখ ৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সর্বমোট ১ হাজার ১২০ জনকে ৮২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অনুদানপ্রাপ্তরা নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অনুদানের চেক গ্রহণ করবেন।