দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তর মিলনায়তনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি : সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার দূষণমুক্ত পরিবেশ উপহার দিতে কাজ করে যাচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য তিনি জনগণের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তর মিলনায়তনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়তে পারব নির্মল বাসযোগ্য পরিবেশ’ উল্লেখ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, মাটিদূষণ ও শব্দদূষণ হ্রাসের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে মনিটরিং এবং এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম জোরদার করা হয়ছে। বায়ুদূষণ রোধে নির্দেশিকা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পোড়ানো ইটের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশব্যাপী প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্যে ইতোমধ্যে ১০ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদী বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।’

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণে পাহাড়, টিলা কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ই-বর্জ্য ও চিকিৎসা বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে বিধিমালা করা হয়েছে। তরল বর্জ্য নির্গমণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে তরল বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা স্থাপন ও জিরো ডিসচার্জ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধ্য করা হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশব্যাপী ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় গৃহীত কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।’

মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘পরিবেশের মান উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপণে সফলতা লাভ করতে সরকারের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্তকাম্য।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, গ্লোবাল সেন্টার অন এডাপটেশনের ফেলো আবুল কালাম আজাদ এবং পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ প্রমুখ।