জাপায় কাদের-রওশন দ্বন্দ্ব

দেবর-ভাবির দ্বন্দ্ব মিটমাট করলেই তো এখানে আসতে হয় না: আদালত

Looks like you've blocked notifications!
জিএম কাদের ও রওশন এরশাদ। এনটিভির ফাইল ছবি

জি এম কাদেরের জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদনের শুনানি চলার সময় আদালত বলেছেন, ‘দেবর-ভাবির দ্বন্দ্ব মিটমাট করলেই তো আদালতে আসতে হয় না।’ পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গতকাল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাপা থেকে বহিষ্কৃত জিয়াউল হক মৃধার আইনজীবী হেলাল উদ্দিন এ আবেদন করেন। এ সময় আদালতকে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের পর দায়িত্ব পেয়েই এলোমেলো কথা শুরু করেছেন জি এম কাদের।’ চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এসময় মন্তব্য করেন, ‘দেবর-ভাবির দ্বন্দ্ব মিটমাট করলেই তো আদালতে আসতে হয় না।’

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলে নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত করে রায় দেন বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত জিয়াউল হক মৃধা জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের যাবতীয় দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।

একই আদালতে মসিউর রহমান রাঙ্গা গত ৩ অক্টোবর জি এম কাদেরসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে বলা হয়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়।

গত ৬ অক্টোবর জাতীয় পার্টির পক্ষে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী এই আবেদন করেন। আবেদনে জি এম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।