দেশের অর্থনীতি রসাতলে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ সোমবার রাজধানীর বনানীতে গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। ছবি : বিএনপি মিডিয়া সেল

‘দেশের অর্থনীতি দ্রুত রসাতলে যাচ্ছে’ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীনরা শুধুমাত্র উন্নয়নের নামে মিথ্যা কথার মাধ্যমে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে। ঋণের টাকা পরিশোধ শুরু হলে  সংকট আরও তীব্র হবে। গোটা রাষ্ট্রকে তারা পরিকল্পিতভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। এটাই মূলত এই সরকারের উদ্দেশ।’

আজ সোমবার (২২ মে) রাজধানীর বনানীতে গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা : লুটপাট আর অরাজকতার চালচিত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। দেশকে ফোকলা করে দিচ্ছে ক্ষমতাসীন সরকার। ঋণের বোঝা এতটাই বেশি যে আগামীতে তা পূরণ করা যাবে কিনা সন্দেহ আছে। এতে করে গ্রোথ এতো নিচে নেমে আসবে যেদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিণত হবে। এটা আমার কথা না, এটা দেশের নামকরা অর্থনীতিবিদদের কথা।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী এবং দুর্নীতি পরায়ণ দল জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সব লুটপাট করে নিচ্ছে। তারা আবার একই ষড়যন্ত্র করছে। তাদের উদ্দেশ ক্ষমতায় থাকা। দেশের মানুষকে বোকা বানানোর জন্য তারা ভিন্ন ভিন্ন প্রচারণা করে যাচ্ছে। অগ্নিসন্ত্রাসের নামে তারাই আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে।’

পাতানো নির্বাচনে দেশের মানুষ আর পা দেবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই লুটেরাদের ও ভোট চোরদের সরাতে না পারলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে নির্বাচন হবে না। তারা ভয়ের রাজত্ব কায়েম করছে।  জনগণ প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ ব্যবহার করে তাদের দমন করছে।’

এ্যাবের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নুর পরিচালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ্যাবের মহাসচিব আলমগীর হাসিন আহমেদ। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা  ফরহাদ হালিম ডোনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভুঁইয়া, ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট এবিএম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।