দেশের বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী 

Looks like you've blocked notifications!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার পটুয়াখালীতে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্‌বোধন করেন। তিনি ফিতা কেটে ফলক উন্মোচন করে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। ছবি : বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় নির্মিত এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্‌বোধন করেছেন

আজ সকালে পটুয়াখালির পায়রায় পৌঁছে দেশের সর্বাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতার পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্‌বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্‌বোধনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেন।

পায়রায় নির্মিত সর্বাধুনিক আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কয়লা-ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এ প্রযুক্তিতে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশ বিশ্বের ১৩তম দেশ ও এশিয়ায় সপ্তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ছাড়া শুধু ভারতে এ ধরনের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।

দুই ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট করে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি উৎপাদনে আসে গত বছরের মে মাসে। সমান ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যায় গত ডিসেম্বরে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গতকাল বিকেলে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে আসবেন। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্‌বোধন করবেন এবং সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন। কারণ, প্রতিটি ঘর বিদ্যুতে আলোকিত হয়েছে।’

গত ৫০ বছরের মধ্যে প্রথম বারের মতো দেশে এমন একটি অতিআধুনিক বৃহত্তম প্রকল্প বাস্তবায়ন করা ‘আমাদের সবার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল’ উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘এটি একটি আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি পাওয়ার প্ল্যান্ট।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করেছি দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় এবং সারা বিশ্বে ১১তম দেশ হিসেবে।’

নসরুল হামিদ আরও বলেন, বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে।

পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ৬৬০ মেগাওয়াট ইউনিটটি ২০২০ সালের মে মাসে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়, এটি ৪০০ কেভি পায়রা-গোপালগঞ্জ পাওয়ার ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে এবং দ্বিতীয়টি গত বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদন শুরু করে।